হাসপাতালে ভর্তিতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন
রোগীর পরিচয় সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে হাসপাতালে ভর্তির সময় জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর রেকর্ড করা হবে। এখন থেকে বাংলাদেশের প্রায় সকল হাসপাতলে এরকম পরিচয়বাচক তথ্য রেকর্ড রাখার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের একটি নোটিশ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অনেক সময় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিচয় নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নানান ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাছাড়া দেশের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে রোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে দেখানো গুরুত্বপূর্ণ। তাই ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সম্মতিতে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের MIS ও লাইন ডাইরেক্টর, HIS and E-health – এর স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ এ সম্পর্কিত বিষয়ে জারি করা হয়েছে। এই নোটিশটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালে কর্মকর্তাদের এবং পরিচালকদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বর্ণিত ছিল, “আপনার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের তথ্যাবলী সঠিকভাবে সংরক্ষণের জন্য রোগীর ভর্তি ফরমে পর্যায়ক্রমিকভাবে এন আইডি নম্বর বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর রেকর্ড করা হবে। এর জন্য এন আইডি নম্বর বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর সম্মিলিত একটি সিল রোগীর ভর্তি ফরমে উল্লেখ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।”
আরও পড়ুনঃ
- শিশুর টিকা দেওয়ার আগে বানাতে হবে জন্ম নিবন্ধন (স্থানীয় সরকার বিভাগ)
- একজন ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ অবৈধ ঘোষনা
- জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ভুল সংশোধনে নতুন নির্দেশনা
উক্ত নোটিশের নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমানে এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য রোগীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর সরবরাহ করা অতীব জরুরী।