বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৫?
বর্তমানে যাদের বয়স ৫ বছরের বেশি, সেসকল বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে এখানে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।
সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা বাধ্যতামূলক। তবে বিগত বছর গুলোতে অনেকেই শিশুর জন্মের কয়েক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও জন্ম নিবন্ধন করেনি। এমনকি দশ বছরের বেশি বয়সী অনেকেরই এখনো পর্যন্ত নিবন্ধন সনদ নেই।
এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে এবং এনআইডি কার্ড বা পাসপোর্ট করার জন্য নিবন্ধন তৈরি করা আবশ্যক। এ সময় আবেদনের ক্ষেত্রে বাড়তে কিছু ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়। অন্যথায়, আবেদন বাতিল করা হয়ে থাকে।
তাই ২০২৫ সালে বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে, তার বিস্তারিত তথ্য এখানে জেনে নিন।
বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৫
২০২৫ বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে বিদ্যালয়ের প্রত্যয়ন পত্র/ বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট, MBBS ডাক্তার কর্তৃক বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ, পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম সনদের কপি, প্রয়োজন হলে আবেদনকারী সদ্য তোলা ছবি ও একটি মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
এসকল ডকুমেন্টস গুলো স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/ সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভা কার্যালয় আবেদন করার সময় দিতে হয়। এছাড়াও অনলাইনে আবেদন করার সময় এগুলোর স্ক্যান কপি বা ছবি (2 MB) আপলোড করে আবেদন সাবমিট করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৫
অর্থাৎ, অনলাইনে ৫ বছরের বেশি বয়সী বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে প্রয়োজন হবে:
- নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির বয়স প্রমাণের জন্য কোন সরকারি MBBS ডাক্তারের স্বাক্ষর করা প্রত্যয়ন পত্র।
- বিদ্যালয়ে বা মাদ্রাসায় ভর্তি অবস্থায় থাকলে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরকৃত প্রত্যয়ন পত্র। (প্রত্যয়ন পত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির ইংরেজি ও বাংলা নাম সঠিক বানানে লেখা থাকবে)।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নের পরিবর্তে বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিতে পারবেন।
- হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রিসিট।
- পিতা ও মাতার অনলাইন করার জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার NID Card এর ফটোকপি। (ঐচ্ছিক)
- যার নিবন্ধন করা হবে, তার সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। (ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাইতে পারে)
- আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার।
এসকল কাগজপত্র ও তথ্যগুলো জমা দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করতে হয়। তবে অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যেগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ সেই ডকুমেন্টস গুলো দিলেই হবে। যেমন: বয়স প্রমাণের প্রত্যয়ন পত্র, বিদ্যালয়ের প্রত্যয়ন পত্র বা সার্টিফিকেটের কপি এবং একটি মোবাইল নাম্বার।
আরও পড়ুনঃ
- এক বছরের কম বয়সী ৫৫ শতাংশ শিশুর জন্ম নিবন্ধন হয়নি
- ১৭টি কাজে জন্ম নিবন্ধন জরুরী, ৩টি কাজে মৃত্যু নিবন্ধন
এগুলো জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন সাবমিট করার পর, জন্ম নিবন্ধন সনদটি সংগ্রহ করার সময় আবারো বাকি কাগজগুলো সহ সবগুলো নিবন্ধকের কার্যালয়ে জমা দিতে হয়। অথবা, সরাসরি নিবন্ধকের কার্যালয়ে আবেদন করতে চাইলে বড়দের জন্ম নিবন্ধন করার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব কাগজ গুলো নিয়ে যাবেন।
আশাকরি সম্পূর্ণ আলোচনাটি বুঝতে পেরেছেন।