শিশুর টিকা দেওয়ার আগে বানাতে হবে জন্ম নিবন্ধন (স্থানীয় সরকার বিভাগ)
শিশুর জন্ম গ্রহণের পর প্রাথমিক টিকা গ্রহণের আগেই জন্ম নিবন্ধন তৈরি বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম। এতে করে ত্বরান্বিত হবে নিবন্ধন কার্যক্রম।
বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুর জন্মগ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবুও শিশুর জন্মগ্রহণের পর ১ বছরের মধ্যেও নিবন্ধন করেনি প্রায় ৫৫% শিশুর। অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে দেশের প্রায় সর্বত্রই। এই জটিলতা থেকে পরিত্রাণের জন্য নতুন এক কর্মসূচির আহ্বান জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম।
বিগত ৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। এ সময় তার বক্তব্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল যে, “দেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যয়ের তুলনায় বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। এই খাতে বাজেট বাড়িয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম কে আরও গতিশীল করা দরকার। নিবন্ধনের কর্মকাণ্ড দ্রুতগতির করতে শিশুর প্রাথমিক টিকা দেওয়ার আগেই জন্ম নিবন্ধন করার শর্ত আরোপের কার্যকর আহ্বান জানান তিনি।”
আরও পড়ুনঃ
- এক বছরের কম বয়সী ৫৫ শতাংশ শিশুর জন্ম নিবন্ধন হয়নি
- ১৭টি কাজে জন্ম নিবন্ধন জরুরী, ৩টি কাজে মৃত্যু নিবন্ধন
- হাসপাতালে ভর্তিতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্ম নিবন্ধন
এসময় আলোচনা সভায় উপস্থিত জাতিসংঘের শিশু তহবিল ‘ইউনিসেফ’ এর প্রতিনিধি দীপিকা শর্মার বক্তব্যের নমুনা হলো, “শিশুর নাগরিক সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করার মৌলিক ভিত্তি হলো জন্ম সনদ। এটি বাংলাদেশী নাগরিকত্বের একটি আইনগত প্রমাণপত্র। জন্ম সনদ না থাকলে শিশুর বাল্যবিবাহ ও পাচারের ঝুঁকি থাকে। কোন আইনি জটিলতাতেও নিবন্ধন না থাকলে সেই শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। দেশের সর্বমোট ৫৬% শিশুর নিবন্ধন হয়েছে। তাই শিশুর সুরক্ষার জন্য নিবন্ধন কার্যক্রমের অগ্রগতি করে জন্ম নিবন্ধন করা জরুরী।”