এক বছরের কম বয়সী ৫৫ শতাংশ শিশুর জন্ম নিবন্ধন হয়নি
বাংলাদেশের শিশু জন্মের পর জন্ম নিবন্ধনের কার্যক্রম ত্বরান্বিত হয়নি। যেখানে শিশুর জন্ম গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেখানে সর্বশেষ আলোচনা সভা অনুযায়ী, এক বছরের কম বয়সী ৫৫% শিশুর জন্ম নিবন্ধন হয়নি বলে জানিয়েছেন রেজিস্টার জেনারেলের কার্যালয়।
২০২৪ সালের ৬ই অক্টোবর “জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস” উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। এই আলোচনা সভাতে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সচিব ও উপদেষ্টাদের বক্তব্য বিভিন্ন তথ্য উঠে আসে।
আলোচনা সভাতে জন্ম নিবন্ধনের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, “জন্ম নিবন্ধন করার মাধ্যমে নাগরিকদের জন্য কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা যায়। ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত জন্মের এক বছরের মধ্যে ৪৫% শিশুর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। একইভাবে মৃত্যু নিবন্ধনও হয়েছে ৪৫%। কিন্তু কাঙ্খিত শতকরা হার ছিল জন্ম নিবন্ধনের জন্য ১০০% এবং মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য ৫০%। অর্থাৎ, চলমান অগ্রগতিতে বিলম্বিত নিবন্ধনের হারই বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে এক বছরের কম বয়সী শিশুর নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ৬%। বিলম্বিত নিবন্ধন হয়েছে প্রায় ৬০%। অন্যদিকে, কোন ব্যক্তি মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে ২১%। বিপরীতে, বিলম্বিত নিবন্ধন হয়েছে ৭৯%। এমন বিলম্ব থেকে পরিচয়ের জন্য, শিশুর জন্মের এক বছরের মধ্যে নিবন্ধন বাড়াতে দেশের হাসপাতাল গুলোতে নিবন্ধক রাখার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
আরও পড়ুনঃ
- একজন ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ অবৈধ ঘোষনা
- জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ভুল সংশোধনে নতুন নির্দেশনা
- সহজ উপায়ে পথশিশুদের জন্ম নিবন্ধনের আহ্বান
এ বিষয়ে আলোচনা সভার সভাপতি হিসেবে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্টার জেনারেল বলেন- স্বচ্ছতা ও নজতার জন্য শুদ্ধ নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করতে সহায়তা করছে নিবন্ধক কার্যালয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ৫৮ লক্ষ ৪৮ হাজারেরও বেশি জন্ম নিবন্ধন হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যু নিবন্ধনও হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ৫১ হাজারেরও বেশি। কমিউনিটি পর্যায়ে নিবন্ধন কার্যক্রমে গতি আনার জন্য টাস্কফোর্স কমিটিকে সক্রিয় করা হয়েছে। এ সময় তিনি মাঠ পর্যায়ে কর্মরত নিবন্ধন কার্যক্রমের জড়িত ব্যক্তিদের ভাতার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেন।”